Class 9 Social science (ECONOMICS) . Bengali version pdf

Class 9 Economics – Chapter 1: The Story of Village Palampur




১. পরিচিতি / অধ্যায়ের সারসংক্ষেপ:

 এই অধ্যায়ে কাল্পনিক গ্রাম Palampur-এর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে কিভাবে একটি গ্রামে উৎপাদন কাজ পরিচালিত হয়। প্রধানত কৃষিকাজ হলেও মানুষ অন্যান্য কাজ যেমন- ডেইরি, ছোট ব্যবসা, পরিবহন ইত্যাদিতেও যুক্ত। এই অধ্যায় আলোচনা করে চারটি উৎপাদনের উপাদান – জমি, শ্রম, পুঁজি এবং দক্ষতা। এছাড়া দেখানো হয়েছে আধুনিক কৃষিকাজ, জমির বণ্টনে বৈষম্য, এবং গ্রামীণ জীবিকার উন্নয়নে কৃষি-বহির্ভূত কাজের গুরুত্ব।

২. অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু:

  • উৎপাদনের উপাদান: জমি, শ্রম, পুঁজি ও দক্ষতা

  • একাধিক ফসল চাষ (Multiple Cropping) ও আধুনিক কৃষি পদ্ধতি

  • জমির বণ্টনে বৈষম্য

  • কৃষি ছাড়া অন্যান্য কাজ (ডেইরি, দোকান, গাড়ি চালানো)

  • শিক্ষার গুরুত্ব ও দক্ষতা উন্নয়ন

  • কর্মসংস্থান ঘাটতি ও কম মজুরি


     

৩. নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দার্থ:

    
শব্দ / শব্দগুচ্ছঅর্থ
উৎপাদন (Production)পণ্য বা পরিষেবা তৈরি করা
একাধিক ফসল চাষএকই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন
শারীরিক পুঁজিযন্ত্রপাতি, সার, ট্রাক্টর ইত্যাদি
মানবসম্পদশ্রমিকের শিক্ষা ও দক্ষতা
HYV বীজঅধিক ফলনশীল উন্নত মানের বীজ
কৃষি-বহির্ভূত কাজকৃষির বাইরে জীবিকার পথ (ডেইরি, দোকান)

প্রশ্ন: উৎপাদনের উপকরণ কী কী? পুঁজি কত প্রকার ও তার ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর:
উৎপাদন হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পণ্য ও পরিষেবা তৈরি হয়। এর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের প্রয়োজন হয়।

উৎপাদনের ৪টি প্রধান উপকরণ হল:

  1. জমি (Land): যেকোনো প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন জমি, জল, বায়ু, খনিজ ইত্যাদি।

  2. শ্রম (Labour): যারা শারীরিক বা মানসিকভাবে কাজ করে।

  3. পুঁজি (Capital): উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত অর্থ, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।

  4. উদ্যোক্তা বা মানবসম্পদ (Human Capital): যে ব্যক্তি অন্য উপকরণগুলো সংগঠিত করে এবং উৎপাদন পরিচালনা করে।


পুঁজির প্রকারভেদ:

১. স্থায়ী পুঁজি (Fixed Capital):
যে পুঁজির উপকরণ বহুবার ব্যবহার করা যায়, সেগুলো স্থায়ী পুঁজি।
উদাহরণ: যন্ত্রপাতি, হাল, ট্রাক্টর, ইঞ্জিন।

২. কার্যকরী পুঁজি (Working Capital):
যে উপকরণ একবার ব্যবহারেই শেষ হয়ে যায়, তা কার্যকরী পুঁজি।
উদাহরণ: সার, বীজ, জ্বালানি, জল।

প্রশ্ন : পালমপুরে কৃষি শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম কেন?

উত্তর:
পালমপুরে কৃষি শ্রমিকরা সাধারণত দৈনিক ভিত্তিতে অথবা নির্দিষ্ট কৃষিকাজের (যেমন, ফসল কাটা) জন্য নিয়োগ পায়। বেশিরভাগ ছোট কৃষকরা পুঁজির জোগান দিতে বড় কৃষক বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নেয়। এই ঋণের সুদের হার অনেক বেশি হওয়ায় তাদের উপর অর্থনৈতিক চাপ পড়ে এবং তারা শ্রমিকদের কম মজুরি দিতে বাধ্য হয়। ফলে কৃষি শ্রমিকদের মজুরি সরকারি ন্যূনতম মজুরির থেকেও কম হয়।


প্রশ্ন : একই জমিতে উৎপাদন বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:
একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল উৎপাদনের পদ্ধতিকে একাধিক ফসল চাষ (Multiple Cropping) বলে। এটি উৎপাদন বাড়ানোর সবচেয়ে প্রচলিত উপায়। পালমপুরের সব কৃষক বছরে অন্তত দুইটি ফসল উৎপাদন করে এবং অনেকেই গত ১৫-২০ বছরে তৃতীয় ফসল হিসেবে আলু চাষ শুরু করেছে। এছাড়াও উন্নত প্রযুক্তি, HYV বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচ ব্যবস্থার সাহায্যে উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়।


প্রশ্ন : মাঝারি ও বড় কৃষকেরা কীভাবে কৃষিকাজের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করে? এটি ছোট কৃষকের থেকে কীভাবে আলাদা?

উত্তর:
মাঝারি ও বড় কৃষকেরা কৃষিকাজ থেকে সঞ্চিত অর্থ থেকেই পুঁজি জোগাড় করে থাকে। তারা নিজেদের লাভ থেকে পরবর্তী চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণ কিনতে সক্ষম হয়। অন্যদিকে, ছোট কৃষকদের সঞ্চয় না থাকায় তারা ঋণ নিয়ে চাষ করে এবং চড়া সুদের চাপে পড়ে যায়।


প্রশ্ন : সাবিতা তেজপাল সিংহের কাছ থেকে কী শর্তে ঋণ নিয়েছিল? সে যদি ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ পেত, তাহলে তার অবস্থা কি ভিন্ন হত?

উত্তর:
সাবিতা ১ হেক্টর জমিতে গম চাষ করতে চেয়েছিল। তার প্রয়োজন ছিল বীজ, সার, কীটনাশক, জল ও যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য কমপক্ষে ₹৩,০০০। টাকা না থাকায় সে বড় কৃষক তেজপাল সিংহের কাছ থেকে ঋণ নেয়। তেজপাল তাকে ২৪% সুদে চার মাসের জন্য ঋণ দেয় — যা খুবই উচ্চ সুদের হার।

সাবিতাকে আরও একটি শর্তে রাজি হতে হয় — তাকে তেজপাল সিংহের জমিতে ফসল কাটার সময় ₹৩৫ দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে হবে। যদিও সে জানত এই মজুরি খুব কম, তবুও সে রাজি হয় কারণ একটি ছোট কৃষকের পক্ষে সহজে ঋণ পাওয়া কঠিন।

হ্যাঁ, যদি সাবিতা ব্যাংক থেকে কম সুদে ঋণ পেত, তাহলে তাকে এমন কঠিন শর্ত মেনে চলতে হতো না।

More Questions and Answers – Chapter 1: পালমপুর গ্রামের কাহিনী


প্রশ্ন ১: পালমপুরে জমির বণ্টন কেমন?

উত্তর:
পালমপুরে জমির বণ্টনে বিশাল বৈষম্য দেখা যায়।
মাত্র কিছু ধনী পরিবার গ্রামটির প্রায় অধিকাংশ জমির মালিক।
বাকি পরিবারগুলোর অনেকেরই জমি নেই, তারা অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।


প্রশ্ন ২: আধুনিক কৃষি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর:

  • HYV বীজের ব্যবহার

  • সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন

  • রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ

  • ট্রাক্টর, থ্রেসার ইত্যাদি যন্ত্রপাতির ব্যবহার
    এইসব ব্যবহারে ফসল উৎপাদনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়।


প্রশ্ন ৩: আধুনিক কৃষি পদ্ধতির একটি সুফল ও একটি কুফল লেখো।

উত্তর:
সুফল: অধিক উৎপাদন হয়, কৃষকের আয় বাড়ে।
কুফল: রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বেশি ব্যবহারে মাটির উর্বরতা কমে যায়।


প্রশ্ন ৪: কেন ছোট কৃষকরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নেন?

উত্তর:
ছোট কৃষকদের নিজের পুঁজি না থাকায় চাষের জন্য বীজ, সার, জল কিনতে টাকা লাগে।
তারা ব্যাংকে সহজে ঋণ পায় না, তাই উচ্চ সুদে মহাজন বা বড় কৃষকের কাছ থেকে ঋণ নেয়।


প্রশ্ন ৫: উৎপাদন ও চাষে শ্রমের ভূমিকা কী?

উত্তর:
শ্রম উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
চাষের প্রতিটি ধাপে – জমি তৈরি, বীজ বোনা, সেচ, ফসল কাটা – শ্রমিকদের প্রয়োজন হয়।


প্রশ্ন ৬: পালমপুরে কৃষির বাইরে কোনো একটি কাজের নাম লেখো এবং ব্যাখ্যা করো।

উত্তর:
ডেইরি বা দুধ উৎপাদন – অনেক পরিবার গরু/মহিষ পালন করে দুধ বিক্রি করে।
এটি কৃষির বাইরে একটি লাভজনক জীবিকা।


প্রশ্ন ৭: ছোট কৃষকদের সমস্যা কী কী?

উত্তর:

  • জমির পরিমাণ কম

  • পুঁজি না থাকা

  • ঋণ নেওয়ার চাপ

  • উচ্চ সুদে টাকা ধার

  • কম লাভ

  • কম মজুরি


প্রশ্ন ৮: কেন গ্রামে কৃষির বাইরে কাজের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন?

উত্তর:
সব কৃষক কৃষিকাজে পূর্ণ সময় কাজ পায় না।
চাষ মৌসুমভিত্তিক। তাই বিকল্প পেশা (যেমন, দোকান, গাড়ি চালানো, ছোট ব্যবসা) থাকলে আয় বাড়ে, বেকারত্ব কমে।


                                                                      


For download link above 

THANK YOU 

















Post a Comment

0 Comments